• রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪২৯

যোগাযোগ

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলসেতুর ৬২ ভাগ কাজ সম্পন্ন

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ২৮ মে ২০২৩

আব্দুল লতিফ তালুকদার, ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি:
যমুনা নদীর উপর দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে দেশের অন্যতম বৃহৎ মেগা প্রকল্প বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুর নির্মাণ কাজ। ইতোমধ্যে টাঙ্গাইলের ৫০ থেকে ২৪ নম্বর পিলারের কাজ শেষ হয়েছে। সেই পিলারের উপর ১৬ টি স্প্যান বসায় এখন অনেকটাই দৃশ্যমান রেল সেতু। অন্যদিকে সিরাজগঞ্জ অংশে ১ থেকে ২৫ নম্বর পিলারের মধ্যে ১ টি স্প্যান বসানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৬২ ভাগ নির্মাণ কাজের অগ্রগতি হয়েছে। এতে প্রায় সাড়ে চার হাজার প্রকৌশলী ও শ্রমিক দিনরাত নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
বঙ্গবন্ধু সেতুর ৩০০ মিটার উজানে নির্মিত হওয়া ৪.৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যর ডুয়েল গেজ ডাবল ট্র্যাকের এই সেতু চালু হলে ঢাকার সাথে সারাদেশের রেল যোগাযোগসহ খুলবে উত্তরাঞ্চলের ব্যবসা বাণিজ্যের নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলবে। সৃষ্টি হবে নব দিগন্তের সূচনা। এদিকে ভূঞাপুর অংশে সংযোগ সড়কের উপর রেল লাইনের কাজও চলছে দ্রুত গতিতে বলে জানায় সেতু প্রকল্প কর্তৃপক্ষ।
সরেজমিনে দেখা যায়, টাঙ্গাইলে ও সিরাজগঞ্জের নদীর দুই পাড়ে আলাদা প্যাকেজে চলছে এর কাজ। এতে টাঙ্গাইল অংশে এখন পুরোপুরি দৃশ্যমান রেলসেতু। স্প্যানের ভিতর রেললাইন স্থাপনের কাজও চলছে। সেতুর ৫০টি পিলারের মধ্যে ইতোমধ্যে ৩২ টির কাজ পুরোপুরি শেষ হয়েছে। আর বাকি ১৮ পিলারের কাজ চলমান রয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যে বাকি পিলারের ওপর বসবে আরও স্প্যান। নির্মাণ শ্রমিকরা দিনরাত পালাক্রমে এই সেতুর ওপরে এবং নিচে নির্মাণ কাজ করছে।
জানা যায়, ১৯৯৮ সালে বঙ্গবন্ধু সেতু চালুর মধ্য দিয়ে রাজধানী ঢাকার সাথে পূর্ব ও দক্ষিণ—পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগ চালু হয়। তবে ২০০৮ সালে বঙ্গবন্ধু সেতুতে ফাটল দেখা দেয়ায় কমিয়ে দেয়া হয় ট্রেনের গতি। বর্তমানে প্রতিদিন যাত্রী ও মালবাহি ৩৮টি ট্রেন ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার গতিতে সেতু পারাপার হয়। এতে সময়ের অপচয়ের পাশাপাশি সিডিউল বিপর্যয় ঘটছে। এর ফলে বাড়ছে যাত্রী ভোগান্তি। একই সাথে মালবাহি ট্রেন চলাচল করাও কঠিন হয়ে পড়েছে। এ সমস্যা সমাধানে বর্তমান সরকার যমুনা নদীর ওপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু নামে আলাদা একটি রেলসেতু নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলসেতুর প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মো. মাসুদুর রহমান জানান, এই সেতুটি বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এটি চালু হলে ঘণ্টায় ১শ’ থেকে ১২০ কিলোমিটার গতিতে সব ধরনের ভারি মালবাহি ট্রেনসহ প্রতিদিন ৮৮টি ট্রেন চলাচল করতে পারবে এ সেতুতে। পাশাপাশি ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে কন্টেইনারবাহি ট্রেন পণ্য নিয়ে সরাসরি আসা যাওয়া করতে পারবে। ফলে ব্যবসায়ীরা খুব কম খরচে পণ্য আমদানি রফতানি করতে পারবে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে সেতুর ৩০টি স্প্যান বসানোসহ পুরো প্রকল্পের কাজ প্রায় ৬২ ভাগ শেষ হয়েছে। ২০২৪ সালের মধ্যে কাজ শেষ করতে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
উলে¬খ্য, ২০২০ সালের ২৯ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই রেলসেতুর নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্তুর স্থাপন করেন। জাপান এবং বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে রেলসেতু প্রকল্পটির বাস্তবায়ন করছে জাইকা। যার নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়ছে ১৬ হাজার ৭৮১ কোটি টাকা। ২০২৪ সালে এর নির্মাণ কাজ শেষ হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads